সোমবার, ৩০ Jun ২০২৫, ০৪:২০ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

১১ কোটিতে বিক্রি মেসি-বার্সা সম্পর্কের সেই ‘ন্যাপকিন’

খেলাধুলা ডেস্ক:
লিওনেল মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার প্রথম চুক্তি হয়েছিল যে ন্যাপকিন পেপারে, সেটা অবশেষে বিক্রি হলো নিলামে। ধারণা করা হয়েছিল এর দাম ৬ উঠতে পারে লাখ ৩৫ হাজার ডলার পর্যন্ত। তবে বিক্রির বেলায় দেখা গেল প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে। শুক্রবার ন্যাপকিন পেপারটি নিলামে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা) বিক্রি হয়েছে। নিলামে ন্যাপকিন পেপারের ভিত্তিমূল্য ছিল ৩ লাখ ডলার।

নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বোনহামস মেসি-বার্সা সম্পর্ক শুরুর সেই ঐতিহাসিক ‘দলিল’ বিক্রির এই তথ্যটি জানিয়েছে।

বোনহামস জানিয়েছে, ন্যাপকিন পেপারটি গ্যাগিওলির কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি নিলামে যে দামে বিক্রি হয়েছে, সেখান থেকে একটি অংশ অনলাইন নিলামের প্রশাসনিক ফি হিসেবে দিতে হবে—এটি ‘ক্রেতার প্রিমিয়াম’।

২০০০ সালে বার্সেলোনার ট্রায়ালে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন ১৩ বছর বয়সী লিওনেল মেসি। তার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে সে বছরের ১৪ ডিসেম্বর বার্সেলোনা টেনিস ক্লাবে মেসির সঙ্গে চুক্তি করেছিল কাতালান ক্লাবটি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে যেন অন্য কোনো ক্লাব নিতে না পারে, সে জন্য তাড়াহুড়া করে একটি ন্যাপকিন পেপারের ওপর সেই চুক্তি করা হয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে জানা গিয়েছিল, ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিন পেপার মার্চে নিলামে তুলবে ব্রিটিশ নিলামপ্রতিষ্ঠান বোনহামস।

মেসিকে নিজেদের জন্য পেতে ন্যাপকিন পেপারে প্রাথমিক চুক্তি সারার পর আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি করেছিল বার্সা। বাকিটা ইতিহাস। বার্সার হয়ে এমন কোনো শিরোপা নেই, যা জেতেননি মেসি। তার কিংবদন্তি হয়ে ওঠার যাত্রা শুরুও ক্যাম্প ন্যুর ক্লাবটি থেকেই। বার্সার হয়ে ৪ বার চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ১০ বার লা লিগা জয়ের পর ২০২১ সালে মেসি যোগ দেন পিএসজিতে। গত বছর ফরাসি ক্লাবটি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন মেসি।

ন্যাপকিন পেপারে করা সে চুক্তিতে লেখা ছিল, ‘বার্সেলোনায় ১৪ ডিসেম্বর, ২০০০ সালে মিনগেলা, হোরাশিও আর বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাসের উপস্থিতিতে পূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্কে লিওনেল মেসিকে সই করানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেল।’

আর্জেন্টাইন এজেন্ট হোরাশিও গ্যাগিওলি প্রথমে মেসির নাম সুপারিশ করেছিলেন। তার উপস্থিতিতে ন্যাপকিন পেপারে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। ন্যাপকিন পেপারে নীল কালিতে চুক্তি লেখা হয়েছিল। এই ন্যাপকিন পেপারে গ্যাগিওলি, মিনগেলা ও রেক্সার্সের সই আছে। ঘটনাস্থলে একজন ওয়েটারের কাছে কাগজ চেয়েছিলেন বার্সার তখনকার ক্রীড়া পরিচালক রেক্সার্স। কিন্তু সেই ওয়েটারের কাগজের বদলে তাকে একটি সাদা ন্যাপকিন পেপার দেন।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION